রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৬ অপরাহ্ন

জেদ্দায় পাসপোর্ট ভোগান্তিতে শত শত বাংলাদেশী

জেদ্দায় পাসপোর্ট ভোগান্তিতে শত শত বাংলাদেশী

স্বদেশ ডেস্খ:

বাংলাদেশের বৃহৎ শ্রমবাজার সৌদি আরবের জেদ্দায় বসবাসকারী শত শত বাংলাদেশী শ্রমিক পাসপোর্ট ভোগান্তিতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। ভোগান্তি যেন কোনোভাবেই তাদের পিছু ছাড়ছে না। ইতোমধ্যে অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। তারপরও জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিস-সংশ্লিষ্টদের সেদিকে খেয়াল দেয়ার সময় নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, সেবার নামে কনসাল জেনারেল অফিসে এখন চলছে নীরবে অনিয়ম। তবে যারা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করছে তারাই এখন তাদের টার্গেটে পড়ছেন।

জেদ্দায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ দুতাবাসসহ সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে এসব অভিযোগ জানিয়ে আসলেও অদ্যাবধি পাসপোর্ট জটিলতার কোনো সুরাহা হয়নি বরং ভোগান্তি আরও বাড়ছে। এতে দিন যত যাচ্ছে প্রবাসীদের মধ্যে পাসপোর্ট না পাওয়ার আতঙ্ক বাড়ছে। এমনটি মনে করছেন দেশটিতে থাকা বিভিন্ন পেশার প্রবাসীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেদ্দা কনস্যুলেট অফিস সাধারণত তিন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। পাসপোর্ট সংক্রান্ত, লেবার উইং এবং সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধির মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা ও ওয়েজ আর্নার্স বন্ড সেবা। পাসপোর্ট-সংক্রান্ত সেবাটি ব্যাপক ও জরুরি।

গতকাল জেদ্দায় বসবাসরত বাংলাদেশীদের পাসপোর্ট ভোগান্তির বিষয়ে মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে জানান, গত ১২ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে প্রায় ২০ হাজার পাসপোর্ট জেদ্দা কনস্যুলেট জেনারেল অফিসে গেলেও সেগুলো রহস্যজনক কারণে অপেক্ষায় থাকা প্রবাসীদের ডেলিভারি দেয়ার জন্য এখনো প্রস্তুত করা হয়নি।

ওই কর্মকর্তা বলছেন, মূলত পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে ধীরগতির কারণেই ডেলিভারির জন্য এখনো প্রস্তুত করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ বাংলাদেশী পাসপোর্ট রিনিউয়ের জন্য আবেদন জমা দিতে কনসাল জেনারেল অফিসের ফাস্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা) মো: কামরুজ্জামানের দরজার সামনে দারস্থ হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ সময় দুরদুরান্ত থেকে আসা প্রবাসীদের তিনিসহ অন্যান্যরা ঠিকমতো সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। আবার কখনও কখনও প্রবাসীরা দিনভর লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে কাউন্টারে যেতে যেতেই বেলা গড়িয়ে যাচ্ছে। আর নির্দিষ্ট সময়ের পর কনস্যুলেটের পাসপোর্ট অফিস বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। অবশ্য ওই সময় দালাল ও ফড়িয়ারা থাকেন বেপোরোয়া।

গতকাল জেদ্দা কনসাল জেনারেল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কর্মকর্তা এই পাসপোর্ট ডেলিভারির সাথে জড়িত তার বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাসপোর্ট জটিলতা কোনোভাবে কাটবে না। দিন যত যাবে ভোগান্তি ততই বাড়তে থাকবে। তারা দ্রুত এর সমাধান চান।

গতকাল রোববার রাতে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহের সাথে জেদ্দা কনসাল জেনারেল অফিসে প্রবাসীদের পাসপোর্ট ভোগান্তির কথা জানতে চাইলে তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানান। তিনি বলেন, আমরা দ্রুত পাসপোর্ট সরবরাহের জন্য সৌদি সরকারের সহযোগিতাও নিচ্ছি। আরও কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। পাসপোর্ট প্রাপ্তিতে প্রবাসীদের যাতে কোনো ভোগান্তি না হয় সেজন্য আমরা সদা চেষ্টা করছি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877